কোন এক হেমন্তের বিকেল
..............................................
স্কুলের গন্ডিটা পার করে সবে মাএ কলেজে উঠেছি,তাতেই বিয়ে নামের শয়েতানিটা বাবার মাথায় চাপ দিতেছে। উহু সব কিছু অসোয্যকর লাগছে,মাকে বলেই বের হয়ে আসলাম বাড়ি থেকে।প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে। রোজকার মত আজকেও সেই শয়েতানটা দাড়ায়,খুব বিরক্ত লাগে ওকে দেখতে কেনো যে বুঝিনা। কথা বলেনা জাষ্ট আবালের মত ফ্যাল ফ্যাল করে তাকায় থাকে। ভাল লাগেনা আর। এক প্রকার বিরক্তি ভাব নিয়েই স্যারের রুমে গেলাম। আবার কি হল তোর?পাশ থেকে বললো সুমি। আর বলিস না তো দোস্ত, আবার সেই এক পেচাল বিয়ে বিয়ে বিয়ে,~ মাথা ঠান্ডা কর আগে,তারপর বল।~ ও প্লিজ তুই আর মাথাটা নষ্ট করিস না। আমাক একা থাকতে দে তো।ওকে as yor wish.......... thanks.........
তারপর প্রাইভেট শেষ এ বাইরে বের হয়ে আবার সেই ছেলেটাকে দেখতে পেলাম.... ও ওর ফেরেন্ডের সাথে দাড়ায় আছে। হটাৎ ফোনটা বেজে উঠলো,মেসেজ টিউন। মেসেজটা আননোন নাম্বার থেকে ছিলো। এই ছেলেটারি কাজ হয়তো আজ কিছু একটা তো হবেই বলে সুমি কে টান দিয়ে ছেলেটার সামনে গিয়ে দাড়ালাম। এই আপনার পব্লেল টা কি???? ছেলটা মনে মনে খুব ভয় পেয়ে গেছিলো হয়তো। ইস্ত তিস্ত ভাব করে বললো, জী আমাকে বলছেন??? আপনি নিজেকে ভাবেন টা কি???নিজেকে কি হিরো ভাবেন। না তো। ঠিক আমি কিছু বুজতে পারলাম না। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন। ~বেশী ভদ্র সাজা হচ্ছে তাই না। বাজে ছেলে,বলে কসে একটা থাপ্পর মারলাম। ছেলেটা আর কিছুই বললো না। তারপর তাকে লাস্ট একটা কথাই বললাম নেকস্ট টাইম আমার সামনে আসবে না। বলে চলে আসলাম।
সুমি:তোর পব্লেম কী দিপা। তুই ভাবিস কী নিজেকে?
~দেখ আমি তোর সাথে ঝগড়া করতে চাচ্ছিনা প্লিজ।
~তুই কাজটা ঠিক করলি,ছেলেটা কি এমন করলো যার জন্য সবার সামনে তুই ওকে থাপ্পর মারলি?
~রোজ মেসেজ করে আমি তোমাকে ভালোবাসি। আর আজ তো একটু বেশীই করে ফেলছে কিস ইমো পাটাই ছে। এইটা কোন কথা তুই বল। যাই হোক এই ছোট্ট বিষয়ের জন্য তুই ওকে ইন্সাল্ট করলি। জাহিদ খুব ভালো একটা ছেলে তুই নিজেও ভালো জানিস, তাও।
~দোস্ত দেখ আমার মাথা ঠিক ছিলো না রে। তুই সিউর নাম্বার টা জাহিদের? জানিনা তো ফোন দিলে ফোন ধরেনা। বাহ্ তুই এটাও জানিস না নাম্বারটা ওর কি না।
~নাহ।
~নাম্বারটা দে তো আমাক?
~লেখ +9199xxxxxx11
সুমির ফোন এ নাম্বারটা ডায়েল হবার সাথে সাথে মুখটা কলো হয়ে গেলো দুজনেরি,সুমির কল লিষ্ট এ নাম্বার টা সেভ করা এটা,নিলয়ের নাম্বার দিপা। মানে,সিট দোস্ত এইটা আমি কি করলাম। তুই কাজটা ঠিক করলি না দিপা। আমার কি দোস আমি ভাবতাম জাহিদ এই মেসেজটা করছে। শুনেছি জাহিদ হচ্ছে এক কোটিপতি বাপের খুব সাধারণ একটা ছেলে। ওর পুরো ফ্যামেলি দেশের বাহিরে শুধু কেন জেনো ঔ পড়ে আছে এদেশে। আমাকে খুব পচ্ছন্দ করে কিন্তু বাস্তবে কখনো আমার সাথে কথা বলেনি শুধু৩টা বছর দুর থেকেই দেখে গেছে। কখনো স্কুল কখনো কলেজ আবার কখনো বা প্রাইভেটের সামনে। ওর সাথে আমার প্রথম দেখা টা মনে পড়ে গেলো, এক হেমন্তর বিকেলে আমি আর আমার মা বাজার এ যাবার জন্য বার হইছিলাম সেই দিন খুব ঠান্ডা ছিলো রাস্তায় তেমন বাস না থাকায় আমি আর মা এমনেই পার হচ্ছিলাম কোথা থেকে যেন একটা বাইক এসে মা কে উড়িয়ে দিয়ে গেলো,রাস্তায় সাহায্য চাবার মত কেউ ছিলোনা মার অবস্থাও খুব খারাপ ছিলো একটু দুরে গিয়ে লক্ষ্য একটা বাইক এই দিকে এগিয়ে আসছে ভালো লাগলো এই ভেবে যে একটা তো কাউকে পেয়েছি। ছেলেটা এতটাই উদার মনের ছিলো যে বলতেই হয়নি আমাকে হেল্প করুণ। তার পর যা করার উনিই করলো। থেন্কস বলে ছোট করতে চাইনি তাই মা সুস্থ হবার পর বাসায় ইনভাইট করে ছিলাম। সেদিনই টুকটাক কথা হয়েছিলো তবে সেইদিন এতটুকুই বুঝে ছিলাম ছেলেটা খুব ভালো মনের মানুষ।
তার পর থেকেই প্রায় দেখা হতো,প্রথম প্রথম যদিও বুঝি নি কিন্তু যখন বুঝলাম তখন এভয়িড করতে শুরু করলাম। আমার নাম্বার জানা স্বতেও কখনো ফোন করেনি তাই হটাৎ অপরিচিত নাম্বার দেখে ওকেই ভেবে ছিলাম। সুমির ডাকে বাস্তবে ফিরে আসলাম। কাল সরি বলবি,এখন বাসা চল। চল। তারপর দুজনে বাসা চলে আসি। তার পর প্রাইভেট কলেজ কোথাও আর জাহিদ কে দেখিনা। ভিতরে ভিতরে অনেক খুজি জাহিদ কে কিন্তু ছেলেটাকে আর কোথাও দেখিনা, ও বলেছিলো ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়ে কিন্তু এত স্টুডেন্টের ভিতরে ওকে কেমনে খুজা সম্ভব। মনে মনে খুব খুজি ছেলেটাকে কিন্তু কোথায় যে হারায় যায়। খুব ফিল হয়। ভিতরে ভিতরে খুব ভেঙ্গে পড়ি মনে হয় যদি আর একটা বার দেখা হতো ওই পাগলটার সাথে। এভাবেই কলেজ লাইফটা পার করে, এক বছর লস করে চান্স নেই ঢাবি তে। যেই বিয়ের প্রেসার এর রাগে সেদিন জাহিদ কে থাপ্পর মেরে ছিলাম আজ তেমন কোন প্রেসার আসেনা ফ্যামিলি থেকে। সেদিন মনে না হলেও এখন মনে হয় কত বড়ো ইন্সাল্ট করেছিলাম ওকে। এই একই ইন্সাল্ট যদি আমাকেও কেউ করতো তবে আমিও খুব কষ্ট পেতাম। আজকে ওর জন্য কষ্টের থেকে ভালোবাসাই বেশী ফিল করি। কেন যেন কোন ছেলের সাথে রিলেশন এ জরাতে ইচ্ছে হয়না শুধু একটা মুখ এই মনে পড়ে সেইটা জাহিদের। এভাবেই এক সকালে জাহিদের এক ফেরেন্ডের সাথে দেখা হয়। খুব চেষ্টা করি ভাইয়াটার সাথে কথা বলতে কিন্তু উনি রাস্তার ওপারে থাকার কারণে কথা হয়না। পরে কম্পাস এ এক নেতার কাছে নাম্বার মেনেজ করে কোন এক হেমন্তের বিকেলে ফোন দেই ওর বন্ধুকে। কিন্তু ওর বন্ধুর একটি কথায় আমি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাই। কখনো ভাবিনি এই কথাটা শুনতে হবে। কন্সার এর কারণে ও কখনো ওর মনের কথা আমাকে বলতে পারেনি।
কারণ ও ওর কষ্টের ভাগ আমাকে দিতে পারবেনা। যেদিন আমি ওকে থাপ্পর মেরে ছিলাম সেদিন ওর ফাষ্ট থেরাপি ছিলো কিন্তু ভাগ্যের নিমম পরিহাস এ আমি ওকে বলেছিলাম যাতে আর কখনো ও আমার সামনে না আসে। সত্যিই ও আমার সামনে আর আসেনি। আমাকে না দেখা দিয়েই পারি জমিয়ে ছে দুর পরবাস এ। খুব ভেঙ্গে পড়েছিলাম কথাটা শুনে। তার থেকে বেশী ভেঙ্গে পড়েছিলাম যখন ওর সমস্থ চিঠি গুলো পাই। জীবন আমাকে দ্বিতীয় সুযোগ টা দেয়নি ওকে একটি বার সরি বলার। আজ অনেক কথা মালার মাঝে একটা কথাই চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হয় আমাকে সরি বলার সুযোগটা কেন দিলে না। সরি জাহিদ অনেক সরি।আমি তোমাকে ভুল বুঝে আমার জীবনে সব থেকে বড় ভুল করে ছিলাম।কিন্তু ওর সাথে যেদিন প্রথম দেখা সেদিন,ওকে যেদিন থাপ্পর মারি সেদিন এমন কি যেদিন ওর শেষ চিঠি গুলো পাই সেদিন ও ছিলো হেমন্তের কুয়াশা ভেজা বিকেল।
সেদিন আমি হারিয়ে যাই নিজের মাঝ থেকে। আর ফিরে পাইনা নিজেকে।
......মাঝে মাঝে কিছু ভুল সংশোধনের উপায় থাকেনা আর যখন মনে হয় ভুল কাজটা ঠিক করা উচিৎ তখন মানুষটাই হারিয়ে যায়......
Love Story |
..............................................
স্কুলের গন্ডিটা পার করে সবে মাএ কলেজে উঠেছি,তাতেই বিয়ে নামের শয়েতানিটা বাবার মাথায় চাপ দিতেছে। উহু সব কিছু অসোয্যকর লাগছে,মাকে বলেই বের হয়ে আসলাম বাড়ি থেকে।প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে। রোজকার মত আজকেও সেই শয়েতানটা দাড়ায়,খুব বিরক্ত লাগে ওকে দেখতে কেনো যে বুঝিনা। কথা বলেনা জাষ্ট আবালের মত ফ্যাল ফ্যাল করে তাকায় থাকে। ভাল লাগেনা আর। এক প্রকার বিরক্তি ভাব নিয়েই স্যারের রুমে গেলাম। আবার কি হল তোর?পাশ থেকে বললো সুমি। আর বলিস না তো দোস্ত, আবার সেই এক পেচাল বিয়ে বিয়ে বিয়ে,~ মাথা ঠান্ডা কর আগে,তারপর বল।~ ও প্লিজ তুই আর মাথাটা নষ্ট করিস না। আমাক একা থাকতে দে তো।ওকে as yor wish.......... thanks.........
Love |
তারপর প্রাইভেট শেষ এ বাইরে বের হয়ে আবার সেই ছেলেটাকে দেখতে পেলাম.... ও ওর ফেরেন্ডের সাথে দাড়ায় আছে। হটাৎ ফোনটা বেজে উঠলো,মেসেজ টিউন। মেসেজটা আননোন নাম্বার থেকে ছিলো। এই ছেলেটারি কাজ হয়তো আজ কিছু একটা তো হবেই বলে সুমি কে টান দিয়ে ছেলেটার সামনে গিয়ে দাড়ালাম। এই আপনার পব্লেল টা কি???? ছেলটা মনে মনে খুব ভয় পেয়ে গেছিলো হয়তো। ইস্ত তিস্ত ভাব করে বললো, জী আমাকে বলছেন??? আপনি নিজেকে ভাবেন টা কি???নিজেকে কি হিরো ভাবেন। না তো। ঠিক আমি কিছু বুজতে পারলাম না। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন। ~বেশী ভদ্র সাজা হচ্ছে তাই না। বাজে ছেলে,বলে কসে একটা থাপ্পর মারলাম। ছেলেটা আর কিছুই বললো না। তারপর তাকে লাস্ট একটা কথাই বললাম নেকস্ট টাইম আমার সামনে আসবে না। বলে চলে আসলাম।
Birds love |
সুমি:তোর পব্লেম কী দিপা। তুই ভাবিস কী নিজেকে?
~দেখ আমি তোর সাথে ঝগড়া করতে চাচ্ছিনা প্লিজ।
~তুই কাজটা ঠিক করলি,ছেলেটা কি এমন করলো যার জন্য সবার সামনে তুই ওকে থাপ্পর মারলি?
~রোজ মেসেজ করে আমি তোমাকে ভালোবাসি। আর আজ তো একটু বেশীই করে ফেলছে কিস ইমো পাটাই ছে। এইটা কোন কথা তুই বল। যাই হোক এই ছোট্ট বিষয়ের জন্য তুই ওকে ইন্সাল্ট করলি। জাহিদ খুব ভালো একটা ছেলে তুই নিজেও ভালো জানিস, তাও।
~দোস্ত দেখ আমার মাথা ঠিক ছিলো না রে। তুই সিউর নাম্বার টা জাহিদের? জানিনা তো ফোন দিলে ফোন ধরেনা। বাহ্ তুই এটাও জানিস না নাম্বারটা ওর কি না।
~নাহ।
~নাম্বারটা দে তো আমাক?
~লেখ +9199xxxxxx11
Bird Love |
সুমির ফোন এ নাম্বারটা ডায়েল হবার সাথে সাথে মুখটা কলো হয়ে গেলো দুজনেরি,সুমির কল লিষ্ট এ নাম্বার টা সেভ করা এটা,নিলয়ের নাম্বার দিপা। মানে,সিট দোস্ত এইটা আমি কি করলাম। তুই কাজটা ঠিক করলি না দিপা। আমার কি দোস আমি ভাবতাম জাহিদ এই মেসেজটা করছে। শুনেছি জাহিদ হচ্ছে এক কোটিপতি বাপের খুব সাধারণ একটা ছেলে। ওর পুরো ফ্যামেলি দেশের বাহিরে শুধু কেন জেনো ঔ পড়ে আছে এদেশে। আমাকে খুব পচ্ছন্দ করে কিন্তু বাস্তবে কখনো আমার সাথে কথা বলেনি শুধু৩টা বছর দুর থেকেই দেখে গেছে। কখনো স্কুল কখনো কলেজ আবার কখনো বা প্রাইভেটের সামনে। ওর সাথে আমার প্রথম দেখা টা মনে পড়ে গেলো, এক হেমন্তর বিকেলে আমি আর আমার মা বাজার এ যাবার জন্য বার হইছিলাম সেই দিন খুব ঠান্ডা ছিলো রাস্তায় তেমন বাস না থাকায় আমি আর মা এমনেই পার হচ্ছিলাম কোথা থেকে যেন একটা বাইক এসে মা কে উড়িয়ে দিয়ে গেলো,রাস্তায় সাহায্য চাবার মত কেউ ছিলোনা মার অবস্থাও খুব খারাপ ছিলো একটু দুরে গিয়ে লক্ষ্য একটা বাইক এই দিকে এগিয়ে আসছে ভালো লাগলো এই ভেবে যে একটা তো কাউকে পেয়েছি। ছেলেটা এতটাই উদার মনের ছিলো যে বলতেই হয়নি আমাকে হেল্প করুণ। তার পর যা করার উনিই করলো। থেন্কস বলে ছোট করতে চাইনি তাই মা সুস্থ হবার পর বাসায় ইনভাইট করে ছিলাম। সেদিনই টুকটাক কথা হয়েছিলো তবে সেইদিন এতটুকুই বুঝে ছিলাম ছেলেটা খুব ভালো মনের মানুষ।
তার পর থেকেই প্রায় দেখা হতো,প্রথম প্রথম যদিও বুঝি নি কিন্তু যখন বুঝলাম তখন এভয়িড করতে শুরু করলাম। আমার নাম্বার জানা স্বতেও কখনো ফোন করেনি তাই হটাৎ অপরিচিত নাম্বার দেখে ওকেই ভেবে ছিলাম। সুমির ডাকে বাস্তবে ফিরে আসলাম। কাল সরি বলবি,এখন বাসা চল। চল। তারপর দুজনে বাসা চলে আসি। তার পর প্রাইভেট কলেজ কোথাও আর জাহিদ কে দেখিনা। ভিতরে ভিতরে অনেক খুজি জাহিদ কে কিন্তু ছেলেটাকে আর কোথাও দেখিনা, ও বলেছিলো ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়ে কিন্তু এত স্টুডেন্টের ভিতরে ওকে কেমনে খুজা সম্ভব। মনে মনে খুব খুজি ছেলেটাকে কিন্তু কোথায় যে হারায় যায়। খুব ফিল হয়। ভিতরে ভিতরে খুব ভেঙ্গে পড়ি মনে হয় যদি আর একটা বার দেখা হতো ওই পাগলটার সাথে। এভাবেই কলেজ লাইফটা পার করে, এক বছর লস করে চান্স নেই ঢাবি তে। যেই বিয়ের প্রেসার এর রাগে সেদিন জাহিদ কে থাপ্পর মেরে ছিলাম আজ তেমন কোন প্রেসার আসেনা ফ্যামিলি থেকে। সেদিন মনে না হলেও এখন মনে হয় কত বড়ো ইন্সাল্ট করেছিলাম ওকে। এই একই ইন্সাল্ট যদি আমাকেও কেউ করতো তবে আমিও খুব কষ্ট পেতাম। আজকে ওর জন্য কষ্টের থেকে ভালোবাসাই বেশী ফিল করি। কেন যেন কোন ছেলের সাথে রিলেশন এ জরাতে ইচ্ছে হয়না শুধু একটা মুখ এই মনে পড়ে সেইটা জাহিদের। এভাবেই এক সকালে জাহিদের এক ফেরেন্ডের সাথে দেখা হয়। খুব চেষ্টা করি ভাইয়াটার সাথে কথা বলতে কিন্তু উনি রাস্তার ওপারে থাকার কারণে কথা হয়না। পরে কম্পাস এ এক নেতার কাছে নাম্বার মেনেজ করে কোন এক হেমন্তের বিকেলে ফোন দেই ওর বন্ধুকে। কিন্তু ওর বন্ধুর একটি কথায় আমি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাই। কখনো ভাবিনি এই কথাটা শুনতে হবে। কন্সার এর কারণে ও কখনো ওর মনের কথা আমাকে বলতে পারেনি।
কারণ ও ওর কষ্টের ভাগ আমাকে দিতে পারবেনা। যেদিন আমি ওকে থাপ্পর মেরে ছিলাম সেদিন ওর ফাষ্ট থেরাপি ছিলো কিন্তু ভাগ্যের নিমম পরিহাস এ আমি ওকে বলেছিলাম যাতে আর কখনো ও আমার সামনে না আসে। সত্যিই ও আমার সামনে আর আসেনি। আমাকে না দেখা দিয়েই পারি জমিয়ে ছে দুর পরবাস এ। খুব ভেঙ্গে পড়েছিলাম কথাটা শুনে। তার থেকে বেশী ভেঙ্গে পড়েছিলাম যখন ওর সমস্থ চিঠি গুলো পাই। জীবন আমাকে দ্বিতীয় সুযোগ টা দেয়নি ওকে একটি বার সরি বলার। আজ অনেক কথা মালার মাঝে একটা কথাই চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হয় আমাকে সরি বলার সুযোগটা কেন দিলে না। সরি জাহিদ অনেক সরি।আমি তোমাকে ভুল বুঝে আমার জীবনে সব থেকে বড় ভুল করে ছিলাম।কিন্তু ওর সাথে যেদিন প্রথম দেখা সেদিন,ওকে যেদিন থাপ্পর মারি সেদিন এমন কি যেদিন ওর শেষ চিঠি গুলো পাই সেদিন ও ছিলো হেমন্তের কুয়াশা ভেজা বিকেল।
সেদিন আমি হারিয়ে যাই নিজের মাঝ থেকে। আর ফিরে পাইনা নিজেকে।
......মাঝে মাঝে কিছু ভুল সংশোধনের উপায় থাকেনা আর যখন মনে হয় ভুল কাজটা ঠিক করা উচিৎ তখন মানুষটাই হারিয়ে যায়......
1 Comments
Good
ReplyDeleteTelling Your Important Comments