একজন কাশ্মীরি, একজন সাংবাদিক ও একজন ভারতীয় সেনা জওয়ান কাশ্মীরি জঙ্গিদের হাতে বন্দী হলেন । জঙ্গিদের নেতা তাদের বললো তোমাদের মুণ্ডচ্ছেদ করে নগ্ন অবস্থায় রাস্তায় ঘোরানো হবে ,তার আগে তোমাদের শেষ ইচ্ছা আমি পূর্ণ করব, কি তোমাদের শেষ ইচ্ছা?
কাশ্মীরি বললো, "আমি ভোজনরসিক, আমি তন্দুরি চিকেন চাই"।
জঙ্গিনেতা ঈশারা করতেই একজন চিকেন নিয়ে এল, কাশ্মীরি তন্দুরি পুরোটা তৃপ্তির সঙ্গে খেয়ে বলল, "এবার আমি শান্তিতে মরতে পারি"।
সাংবাদিক বলল, "আমি একজন সাংবাদিক। আমি আমার টেপ রেকর্ডারটা চাই যাতে আমি এখনকার অবস্থার বিবরন রেকর্ড করে যেতে পারি। হয়তো, কোনদিন, কেউ এটা শুনে বুঝবে আমি শেষ সময় পর্য্যন্ত আমার কাজটা করেছি ।"
জঙ্গিনেতার নির্দেশে টেপ রেকর্ডার এল এবং সাংবাদিক তার বক্তব্য রেকর্ড করে রেখে বলল, "এবার আমি শান্তিতে মরতে পারি ।"
এরপর জঙ্গিনেতা সেনা জওয়ানটির দিকে ঘুরে জিজ্ঞেস করলো, "হাবিলদারজি, তোমার শেষ ইচ্ছা কি?"
"আমার পেছনে লাথি মার" হাবিলদার বলল ।
"কি?" নেতা বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো, "তুমি কি তোমার শেষ সময়ে মজা করছ?"
"না, আমি মজা করছি না, আমি চাই তুমি আমার পিছনে লাথি মার", সেনা জওয়ানটি আবার বলল ।
এবার জঙ্গিনেতা তাকে ধাক্কা মেরে খোলা জায়গায় নিয়ে গিয়ে তার পিছনে একটা লাথি মারল। সৈনিকটি পড়ে যেতে যেতে তার পোশাক থেকে একটি নাইন এম এম পিস্তল বের করে ওই নেতাকে গুলি করে মেরে ফেলল । মুহূর্তের বিহবলতার সুযোগে সে ছয়জন জঙ্গিকে নিকেশ করে ফেলল, তারপর তার পোশাকের মধ্যে থাকা ছুরি দিয়ে একজনের গলা কেটে ফেলল ,আর একজন মৃত জঙ্গির কাছ থেকে একে৪৭ নিয়ে সে আরো ১১ জন জঙ্গিকে মেরে ফেলল ।
কাশ্মীরি আর সাংবাদিককে দড়ি খুলে মুক্ত করার সময় তারা সেনা জওয়ানটিকে জিজ্ঞেস করলো, "কেন তুমি প্রথমেই ওদের গুলি করনি ?, কেন তুমি ওকে তোমার পিছনে লাথি মারতে বললে ?"
জওয়ানটি উত্তর দিল, "কারন, যদি আমি প্রথমে মারতাম তোমরা দুই গাধা মিলে সবাইকে বলতে, আমিই হলাম অসহিষ্ণু, আমিই হলাম প্রকৃত দোষী আর আমার জন্যই কাশ্মিরে এত রক্তপাত" ভারতীয় গনতন্ত্রের এই লৌহকঠিন / হাস্যকর পরিস্থিতির জন্য কৃতিত্ব দাবি করতেই পারে টি.এম.সি., কম্যুনিস্ট আর কংগ্রেসিরা ...
1 Comments
Thanks for Your Response
ReplyDeleteTelling Your Important Comments